গুগল পে নয়, বাংলাদেশে এসেছে গুগল ওয়ালেট
গতকাল বাংলাদেশে প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়, যখন খবর ছড়িয়ে পড়ে যে গুগল পে (Google Pay) বাংলাদেশে অফিশিয়ালি লঞ্চ হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে যেটা চালু হয়েছে, সেটা আসলে গুগল ওয়ালেট (Google Wallet) – এবং এই দুইটি বিষয় একেবারেই এক নয়। গুগল পে এবং গুগল ওয়ালেট: পার্থক্য কী? গুগল পে (Google Pay) মূলত একটি ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম যেটা ভারতের মতো দেশে UPI (Unified Payments Interface) ব্যবহারের মাধ্যমে টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করার সুবিধা দেয়। এটি ব্যাংক-টু-ব্যাংক ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দ্রুত মাধ্যম। গুগল পে এখন পর্যন্ত ৩টি দেশে ব্যবহার করা যাচ্ছে, দেশগুলো হলো: সিঙ্গাপুর, আমেরিকা এবং ভারত। অন্যদিকে, গুগল ওয়ালেট (Google Wallet) একটি ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাপ যা মূলত কার্ড সংরক্ষণ, টিকিট, ডিজিটাল আইডি এবং অন্যান্য কনটেন্ট রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। এখান থেকে টাকা ট্রান্সফার করার কোন UPI বা মোবাইল পেমেন্ট সুবিধা নেই। শুধুমাত্র অ্যাড করা কার্ডের মাধ্যমে লিমিটেড পরিসরে লেনদেন সম্ভব। বাংলাদেশে কী চালু হয়েছে? বাংলাদেশে গুগল ওয়ালেট অ্যাপটি এখন অফিশিয়ালি চালু হয়েছে। যদিও এই অ্যাপ অনেক আগেই গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যেত, তখন শুধু ইন্টারন্যাশনাল বা ডুয়াল কারেন্সি কার্ড ব্যবহার করেই লেনদেন সম্ভব ছিল। এবার যে আপডেট এসেছে, তাতে বাংলাদেশি কারেন্সিতে ইস্যু করা একটি ব্যাংক (সিটি ব্যাংক) এর ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড গুগল ওয়ালেটে সংযুক্ত করা যাচ্ছে। তাহলে গুগল পে চালু হলো না? না, এখনো পর্যন্ত গুগল পে বাংলাদেশে চালু হয়নি। অর্থাৎ আপনি বাংলাদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে UPI-এর মতো করে টাকা পাঠাতে বা গ্রহণ করতে পারবেন না। গুগল ওয়ালেট শুধুমাত্র একটি ডিজিটাল কার্ড স্টোরেজ অ্যাপ হিসেবে কাজ করছে। এতে কোনো সরাসরি QR স্ক্যান করে পেমেন্ট, বা মোবাইল নম্বর দিয়ে টাকা পাঠানো/গ্রহণ করার ফিচার নেই। কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? গুগল পে চালু হলে তা বাংলাদেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে একটি বিপ্লব ঘটাতে পারত। যেমনঃ QR কোড স্ক্যান করে দোকানে পেমেন্ট মোবাইল নাম্বারে টাকা পাঠানো ইউপিআইয়ের মতো রিয়েল টাইম ব্যাংক ট্রান্সফার অনলাইন কেনাকাটায় সহজ পেমেন্ট কিন্তু এখন যে সংস্করণটি চালু হয়েছে, তাতে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র সিটি ব্যাংকের কার্ড যুক্ত করে NFC-এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় (যেখানে Google Wallet গ্রহণ করে)। এখন কী করবেন? যদি আপনার কাছে সিটি ব্যাংকের একটি কার্ড থাকে, তাহলে আপনি গুগল ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড করে সেই কার্ড অ্যাড করে NFC পেমেন্টের সুবিধা নিতে পারেন। তবে যদি আপনি আশা করেছিলেন গুগল পের মত করে মোবাইল পেমেন্ট করবেন, তাহলে এখনই সেটা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত গুগল পে নয়, বরং গুগল ওয়ালেট-এর সীমিত সংস্করণ চালু হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে এটি পুরোপুরি ডিজিটাল পেমেন্ট রেভোলিউশন নয়। এখন দরকার স্থানীয় ব্যাংক ও সরকারের উদ্যোগ, যাতে গুগল পে বা ইউপিআই ধরনের প্রযুক্তি এখানে বাস্তবায়ন করা যায়।

গতকাল বাংলাদেশে প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়, যখন খবর ছড়িয়ে পড়ে যে গুগল পে (Google Pay) বাংলাদেশে অফিশিয়ালি লঞ্চ হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে যেটা চালু হয়েছে, সেটা আসলে গুগল ওয়ালেট (Google Wallet) – এবং এই দুইটি বিষয় একেবারেই এক নয়।
গুগল পে এবং গুগল ওয়ালেট: পার্থক্য কী?
গুগল পে (Google Pay) মূলত একটি ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম যেটা ভারতের মতো দেশে UPI (Unified Payments Interface) ব্যবহারের মাধ্যমে টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করার সুবিধা দেয়। এটি ব্যাংক-টু-ব্যাংক ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দ্রুত মাধ্যম। গুগল পে এখন পর্যন্ত ৩টি দেশে ব্যবহার করা যাচ্ছে, দেশগুলো হলো: সিঙ্গাপুর, আমেরিকা এবং ভারত।
অন্যদিকে, গুগল ওয়ালেট (Google Wallet) একটি ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাপ যা মূলত কার্ড সংরক্ষণ, টিকিট, ডিজিটাল আইডি এবং অন্যান্য কনটেন্ট রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। এখান থেকে টাকা ট্রান্সফার করার কোন UPI বা মোবাইল পেমেন্ট সুবিধা নেই। শুধুমাত্র অ্যাড করা কার্ডের মাধ্যমে লিমিটেড পরিসরে লেনদেন সম্ভব।
বাংলাদেশে কী চালু হয়েছে?
বাংলাদেশে গুগল ওয়ালেট অ্যাপটি এখন অফিশিয়ালি চালু হয়েছে। যদিও এই অ্যাপ অনেক আগেই গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যেত, তখন শুধু ইন্টারন্যাশনাল বা ডুয়াল কারেন্সি কার্ড ব্যবহার করেই লেনদেন সম্ভব ছিল।
এবার যে আপডেট এসেছে, তাতে বাংলাদেশি কারেন্সিতে ইস্যু করা একটি ব্যাংক (সিটি ব্যাংক) এর ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড গুগল ওয়ালেটে সংযুক্ত করা যাচ্ছে।
তাহলে গুগল পে চালু হলো না?
না, এখনো পর্যন্ত গুগল পে বাংলাদেশে চালু হয়নি। অর্থাৎ আপনি বাংলাদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে UPI-এর মতো করে টাকা পাঠাতে বা গ্রহণ করতে পারবেন না। গুগল ওয়ালেট শুধুমাত্র একটি ডিজিটাল কার্ড স্টোরেজ অ্যাপ হিসেবে কাজ করছে। এতে কোনো সরাসরি QR স্ক্যান করে পেমেন্ট, বা মোবাইল নম্বর দিয়ে টাকা পাঠানো/গ্রহণ করার ফিচার নেই।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
গুগল পে চালু হলে তা বাংলাদেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে একটি বিপ্লব ঘটাতে পারত। যেমনঃ
QR কোড স্ক্যান করে দোকানে পেমেন্ট
মোবাইল নাম্বারে টাকা পাঠানো
ইউপিআইয়ের মতো রিয়েল টাইম ব্যাংক ট্রান্সফার
অনলাইন কেনাকাটায় সহজ পেমেন্ট
কিন্তু এখন যে সংস্করণটি চালু হয়েছে, তাতে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র সিটি ব্যাংকের কার্ড যুক্ত করে NFC-এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় (যেখানে Google Wallet গ্রহণ করে)।
এখন কী করবেন?
যদি আপনার কাছে সিটি ব্যাংকের একটি কার্ড থাকে, তাহলে আপনি গুগল ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড করে সেই কার্ড অ্যাড করে NFC পেমেন্টের সুবিধা নিতে পারেন। তবে যদি আপনি আশা করেছিলেন গুগল পের মত করে মোবাইল পেমেন্ট করবেন, তাহলে এখনই সেটা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত গুগল পে নয়, বরং গুগল ওয়ালেট-এর সীমিত সংস্করণ চালু হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে এটি পুরোপুরি ডিজিটাল পেমেন্ট রেভোলিউশন নয়। এখন দরকার স্থানীয় ব্যাংক ও সরকারের উদ্যোগ, যাতে গুগল পে বা ইউপিআই ধরনের প্রযুক্তি এখানে বাস্তবায়ন করা যায়।